কবিগুরু’র প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি (Tribute to Tagore in Lockdown)
বর্তমানে এক অসম্ভব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ। সম্পূর্ণ পৃথিবীই কার্যত স্তব্ধ। এমতাবস্থায় আমাদের দেশ তথা রাজ্যের প্রায় সকল কলকারখানা, স্কুল, কলেজ, অফিসের মতোই নাট্য সংগঠনগুলিও বন্ধ। থমকে গেছে তাদের যাবতীয় দৈনন্দিন কাজ, রিহার্সাল বা নাটকের শো। তবু লকডাউন মেনে বাড়িতে বসেই কাজ করে চলেছেন বৃশ্চিক্ নাট্য সংস্থার সদস্যরা। ইতিমধ্যেই সংস্থা প্রযোজিত সাম্প্রতিক নাটকগুলির ডিজিটাল রিস্টোরেশনের পাশাপাশি সংস্থার বার্ষিক নাট্যপত্রিকা,স্কুল ভিত্তিক নাট্য প্রতিযোগিতা ও ২০ বছরের নাট্য উৎসবের যাবতীয় তথ্যাদি নিজেদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইউটিউব পেজের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।শুধু শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধ না থেকে বৃশ্চিক্ একই সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে এই কঠিন সময়েও অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বৃশ্চিক্ নাট্য সংস্থা। সেই উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও রাজ্যের আপতকালীন ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য করেছে বৃশ্চিক্। এছাড়াও এই কঠিন সময়ে সংস্থার সকল সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে সংস্থার বেনিফিট ফান্ড থেকে সদস্যদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রায় একশোটির বেশি নাট্যদল একত্রিত হয়ে বিভিন্ন নাট্যদলে কর্মরত দুঃস্থ শিল্পীদের সাহায্যার্থে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাতে বৃশ্চিক্ নাট্য সংস্থাও সামিল হয়েছে।
গত ২৫শে বৈশাখ সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে এক অভিনব পদ্ধতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। সংস্থার প্রত্যেক সদস্য তাদের বাড়িতে থেকেই নাচ, গান, যন্ত্রসংগীত, কবিতা ও গল্পপাঠের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরবর্তীতে তাদের এই অভিনব প্রয়াসের একটি সম্মিলিত ভিডিয়ো সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও এদিন রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপনের পাশাপাশি সংস্থার পক্ষ থেকে আরো এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বাঁশবেড়িয়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নাটকের মঞ্চনির্মাণ, রূপসজ্জা, আলো, শব্দ প্রক্ষেপনের সাথে যুক্ত মোট ৫৫ জন নেপথ্যে শিল্পী-কে মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। স্থানীয় মানুষ থেকে প্রশাসন সকলেই বৃশ্চিকে্র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
দেবায়ন সাহা
বাঁশবেড়িয়া, হুগলী